অযোধ্যাঃ অযোধ্যা পাহাড়ের উপর দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে প্রশাসনের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। প্রশাসনের এহেন অবস্থা থেকে অযোধ্যা পাহাড়ের উপরে গঠিত গ্রাম সভার সদস্যগণ আগুন নেওয়াতে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন এবং আগুন নেভাতে ও সক্ষম হয়েছেন। বন জঙ্গল রক্ষাকারী আদিবাসী মানুষের কাছে একটা বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছে আজ পাহাড়ের বন জঙ্গল নষ্ট করে সরকার কর্পোরেটদের হাতে তুলে দিচ্ছে না তো? আজ পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়কে রক্ষা করার দায়িত্ব কি শুধু আদিবাসীদের? বন্যপ্রেমী ও দেশপ্রেমীগন আজকে কোথায়? আদিবাসীদের সেঁদেরায় পশু প্রেমীদের চোখ খুলে এবং লিফলেট দিয়ে প্রচার করতে থাকেন বন্যপ্রাণীকে হত্যা করা যাবে না। আজ অযোধ্যা পাহাড়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে! বন্যপ্রাণীকে কি সেই আগুনে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে না? সেটা কি প্রাণী হত্যা হচ্ছে না?। আজকে পুরুলিয়ার বুকে তাপমাত্রার বেড়ে চলা একমাত্র কারণ হচ্ছে বন জঙ্গল কেটে বিভিন্ন প্রজেক্ট বানানো। আর এই বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য দায়ী জনসাধারণের সাথে সরকার বাহাদুর। বর্তমানে পুরুলিয়ার তাপমাত্রা ৪৬ থেকে ৪৭ ডিগ্রি এর মূল কারণ হচ্ছে বন জঙ্গল কেটে সাপ করে বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্ট বানানো । পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড় কে যদি আমরা না রক্ষা করতে পারি তাহলে আর বেশি দেরি নয় কয়েক বছরের মধ্যে আমাদের জেলার তাপমাত্রা ৫০ থেকে ৬০ ডিগ্রিতে গিয়ে পৌঁছাবে। আদিবাসী ছাড়া অন্যান্য জনসাধারণ সুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষরা এই বিশ্ব উষ্ণায়নকে সাপোর্ট করে যাচ্ছেন। অযোধ্যা পাহাড়ের উপর কয়েকশ হেক্টর জমির গাছ কেটে সেখানেই প্রজেক্ট করা হচ্ছে এর জন্য আদিবাসী ছাড়া অন্য জনসাধারণ সাথে শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষরা এক বিন্দু পর্যন্ত প্রতিবাদ করেননি। আর এই সকল কারণের জন্যই সরকার বোনাধিকার আইন ২০০৬ কে বাস্তবে প্রয়োগ করতে চাইছেন না পরিবর্তে লঘু করতে চাইছেন।
Hi, this is a comment.
To get started with moderating, editing, and deleting comments, please visit the Comments screen in the dashboard.
Commenter avatars come from Gravatar.